
এ বিষয়ে ইসির উপ-সচিব পর্যায়ের এক কর্মকর্তা বলেন, "এখনো সংশোধনী চূড়ান্ত হয়নি। আইন মন্ত্রণালয় থেকে ইতিবাচক নির্দেশনা পেলেই তা চূড়ান্ত করা হবে।"
ইসি সূত্র থেকে জানা যায়, ইসির নিজস্ব ওয়ের সাইটে নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করে ভোটার হওয়ার সুযোগ দিতে চায় কমিশন। এছাড়া যারা ভোটার নন তারাও স্মার্ট কার্ডের জন্য অনলাইনের মাধ্যমেই আবেদন করতে পারবেন।
ইসি সূত্রে আরও জানা যায়, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের সহায়তায় স্মার্ট কার্ড প্রকল্পের বিধানেও কিছু পরিবর্তন আনতে চাচ্ছে কমিশন। প্রথমবার প্রতিটি স্মার্ট কার্ডের মূল্য দুইশত টাকা ধরে তা বিনামূল্যে দেওয়া হবে। যার মেয়াদ হবে ১০ বছর।
পরবর্তীতে নবায়নের কার্ড নবায়ন করতে হলে প্রতিটি কার্ডের জন্য সাধারণ ক্ষেত্রে ২৫০ টাকা এবং জরুরি ভিত্তিতে ৫০০ টাকা ব্যয় করতে হবে।
এছাড়া স্মার্ট কার্ড নষ্ট হয়ে গেলে বা হারিয়ে গেলে প্রথম বার প্রতিটি কার্ডের জন্য সাধারণ ক্ষেত্রে ৫০০ টাকা এবং জরুরি হলে ১০০০ টাকা খরচ করতে হবে। দ্বিতীয় বার হারালে সাধারণ ক্ষেত্রে ১০০০ টাকা, জরুরী ভিত্তিতে করতে হলে ২০০০ টাকা ব্যয় করতে হবে। এরপরও একই ঘটনা ঘটলে সাধারণ ২০০০ টাকা, জরুরি ক্ষেত্রে ৪০০০ টাকা ফি গুনতে হবে।
বর্তমানে যে জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হচ্ছে তা সাধারণ কাগজে প্রিন্ট দিয়ে শুধু লেমিনেট করা। যা খুব সহজেই নকল করা যায়। তাই এ থেকে পরিত্রাণের জন্য প্রত্যেক নাগরিকে হাতে স্মার্ট কার্ড তুলে দেওয়ার উদ্যোগ নেই ইসি যেই কার্ড হবে যন্ত্রে পাঠ যোগ্য।
স্মার্ট কার্ডে বিশেষ কোড ব্যবহৃত হবে, যাতে নাগরিকের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে।
এইচকে/যাকা
0 comments:
Post a Comment